ফরিদগঞ্জে কাঁশারা কমিউনিটি ক্লিনিক মুক্ত করা হয়েছে। এর আগে প্রায় আট দিন বন্ধ ছিলো। জমির মালিকানা দাবী করে পার্শ্ববর্তী এক দম্পতি। সেবা গ্রহিতারা ক্লিনিক খুলে দেয়ার দাবীতে সোচ্চার হয়। ঘটনা জেনে, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, ফরিদগঞ্জ, সুলতানা রাজিয়া’র নেতৃত্বে যৌথ বাহিনী অভিযান চালায়। মঙ্গলবার (২৪-এ জুন) দুপুরে ওই অভিযান পরিচালিত হয় পাইকপাড়া (দক্ষিণ) ইউপির কাঁশারা গ্রামে। এক পর্যায়ে, অভিযোগের প্রেক্ষিতে ও ইউএনও’র নির্দেশে প্রতিবন্ধকতাকারী দম্পতিকে আটক করে থানায় নেয়া হয়। বিকালে, মুচলেকার বিনিময়ে তাকে আপাততঃ জামিনে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
ওই দম্পত্তির বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা, কর্মচারীকে মারধর, হুমকি, ক্লিনিক অবরুদ্ধ ও দখলের চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে। ওই দম্পতি, স্বাস্থ্য সেবা বন্ধ করে দেয় ও ক্লিনিকের সামনে প্রবেশপথে গাছগাছালি ও বেড়া নির্মাণ করে। এর ফলে, ক্লিনিক ও স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। সেবা গ্রহিতা শত মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ক্লিনিক খুলে দিতে তারা দাবী জানান।
সূত্র জানিয়েছে, সি.বি.এইচ.সি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে নির্মিত হয়েছে পাইকপাড়া (দক্ষিণ) ইউনিয়নের কাঁশারা কমিউনিটি ক্লিনিক। স্থানীয় নোয়াব আলী ভূঁইয়া, মনোয়ারা ও মনির উদ্দিনের দেওয়া জমির উপর ক্লিনিকটি নির্মিত হয় ১৩-ই ফেব্রুয়ারি ২০২১ সালে। উদ্বোধনের পর নিয়মিত ওই এলাকার মানুষকে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছে। সেবা পেয়ে জনসাধারণ খুশি ও উপকৃত হয়েছেন মর্মে উপস্থিত পঞ্চাশোর্ধ নারী-পুরুষ বলেছেন।
নানা উপায়ে ও স্ব শরীরে উপস্থিত হয়ে; ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার আসাদুজ্জামান জূয়েল ক্লিনিক চালু করতে চেষ্টা করেন। এতে, বাধ সাধে আব্দুর রহিম ও শারমিন আক্তার শাহানাজ। তারা বেপরোয়া ও মারমুখী আচরণ করে। এলাকার লোকজন অপমান ও অপদস্ত হন।
ক্লিনিক মুক্ত হওয়ার পর, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আসাদুজ্জামান জুয়েল জানান, কমিউনিটি ক্লিনিকটি নির্মাণের পর প্রশংসনীয় ভাবে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম চলমান ছিলো। ১৪ই জুন হঠাৎ করেই ক্লিনিকটি বন্ধ করে দেয় আব্দুর রহিম ও শারমিন আক্তার শাহানাজ দম্পত্তি। আমরা কাগজপত্র সংগ্রহ করে প্রশাসনের সহযোগিতায় দখলমুক্ত ও স্বাস্থ্য সেবা পুনরায় চালু করেছি। এছাড়া ওই ঘটনায় রোববার (২২-এ জুন ২০২৫) থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুলতানা রাজিয়া জানান, গ্রামাঞ্চলের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে মঙ্গলবার আমি যৌথবাহিনীসহ কাঁশারা ক্লিনিকটি দখলমুক্ত করেছি। সরকারি কাজে যারাই বাধা দিবে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।