দুই ধর্মের দুই কিশোরীর পরিচয় টিকটকের মাধ্যমে। এই পরিচয় থেকে প্রণয়। ভালোলাগা থেকে ভালোবাসা। অসম প্রেমের সেই সূত্র ধরে ফরিদগঞ্জের কিশোরী ছুটে যান গোপালগঞ্জে তার ভালোবাসার মানুষকে নিয়ে আসতে। দুই কিশোরী চলে আসেন চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ায় গোপালগঞ্জের ওই কিশোরীর অভিভাবকদের দায়ের করা জিডি এবং ফরিদগঞ্জের কিশোরীর অভিভাবকদের না মেনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত। অবেশেষ ফরিদগঞ্জের অভিভাবকরা ওই কিশোরীদ্বয়কে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেছে।

শনিবার (২৬ এপ্রিল ২০২৫) ফরিদগঞ্জ উপেজলায় ঘেট এই ঘটনা। ওই কিশোরীরা হলো : ফরিদগঞ্জ উপেজেলার বালিথুবা পশ্চিম ইউনিয়নের ইউসুফ মিয়ার মেয়ে রিতু ও গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ার অনেলের মেয়ে আরোহী।

স্থানীয় সূত্র ও কিশোরীরা জানায়ৰ চলিত বছরের জানুয়ারী মাসে উভেয়ের টিকটেকের মাধ্যমে পরিচয় ঘটে। এরই মাঝে একে অপরের বাড়িতে আসা-যাওয়া ও মনের ভাব বিনিময় হয়। এক পর্যায়ে রিতু ক’দিন পূর্বে গোপালগঞ্জ আরোহীর কাছে ছুটে যায়। সেখানে গিয়ে সে আরোহীকে নিয়ে তাদের বাড়ি ফরিদগঞ্জ উপেজেলার বালিথুবা পশ্চিম ইউনিয়নে সকদিরামপুর গ্রামে শুক্রবার (২৪ এপ্রিল ২০২৫) চলে আসে।

তারা জানায়, গত ১৭ এপ্রিল ২০২৫ মৌখিকভাবে তারা পরিণয় সূত্রে আবদ্ধ হয়েছে। তারা বলে, আমরা আবেগে নয় মন থেকেই এক অপরের প্রতি ভালোলাগা থেকে ভালোবাসা ও অবশেষে পরিণয় সূত্রে আবদ্ধ হয়েছি। তবে তারা বিবাহ বন্ধনের কোনো প্রমাণপত্ৰ দেখাতে পারেনি।

এদিকে দু কিশোরীর সমকামিতার ঘটনা প্রকাশ হয়ে যাওয়ার পর রিতুর পরিবার শনিবার (২৬ এপ্রিল ২০২৫) নিজেরা আরোহী ও রিতুকে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।

ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহ আলম জানান, আরোহী নামের মেয়েটি হারিয়ে যাওয়ার জিডি মূলে পুলিশ কর্তৃক তাকে উদ্ধার করা হয়েছে।