1. chandpurmedia@gmail.com : chandpurmedia chandpurmedia : chandpurmedi chandpurmedia
  2. info@www.chandpurmedia.com : news :
সোমবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৯ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় এমন কাজে যারা সম্পৃক্ত হবে, তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না, দল থেকে বহিস্কার করা হবে —— আলহাজ্ব এমএ হান্নান দ্বিতীয়বারের মতো ১৩০টি বন্যার্ত পরিবারের মাঝে ত্রাণ-সাহায্য পৌঁছে দেন ফরিদগঞ্জ ফ্রেন্ড ফোরাম ফরিদগঞ্জে পানিবন্দী মানুষকে তিন দিন খাদ্য দিলেন মোতাহার হোসেন পাটওয়ারী ফরিদগঞ্জে জাতিয়তাবাদী আইনজীবি ফোরামের সভাপতি এ্যাডভোকেট আব্বাসের ত্রাণ বিতরণ জলাবদ্ধ মানুষের সহায়তায় অবিরাম ছুটে চলছে রামগঞ্জের শায়েখ মুসলিম ছাত্র সংসদ জলাবদ্ধ মানুষের সহায়তায় অবিরাম ছুটে চলছে ফরিদগঞ্জ ফ্রেন্ডস ফোরাম ফরিদগঞ্জে খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি ও শহীদ ছাত্রদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া ফরিদগঞ্জে সাবেক বিএনপি নেতা জয়নাল আবেদিনের মৃত্যু বার্ষিকীতে বিভিন্ন মসজিদে দোয়ার আয়োজন আগামীর দেশ হবে সাম্যের বাংলাদেশ ——– সাবেক সংসদ সদস্য লায়ন হারুনুর রশীদ আগামীর দেশ হবে সাম্যের বাংলাদেশ ——– সাবেক সংসদ সদস্য লায়ন হারুনুর রশীদ

যে অনুভূতি ও কাজে আল্লাহর সঙ্গে বান্দার সুসম্পর্ক তৈরি হয়

ইসলামিক ডেস্ক
  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২০
  • ৭৪ বার পড়া হয়েছে

দুনিয়া ও পরকালের সফলতা লাভে আল্লাহর সঙ্গে বান্দার সুসম্পর্ক তৈরির বিকল্প নেই। বান্দার এমন কিছু অনুভূতি ও কাজ রয়েছে, যা তাকে আল্লাহর সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরিতে সুযোগ করে দেয়। মুমিন মুসলমানের জন্য এ অনুভূতি ও কাজগুলো খুবই জরুরি।

মানুষের প্রতি আল্লাহর রহমত অবিরত। মায়ের গর্ভে থাকাকালীন সময় থেকেই বান্দা মহান আল্লাহর অকল্পনীয় নেয়ামতে সিক্ত হতে থাকে। তাঁর রহমতে বেড়ে ওঠে। আল্লাহর এ রহমত ও নেয়ামতের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনই তাঁর সঙ্গে বান্দার সুসম্পর্ক তৈরি হয়। আল্লাহর সঙ্গে বান্দার অনুভূতি ও কাজগুলো হবে এমন-

শুকরিয়া জ্ঞাপন ও প্রশংসা

আল্লাহর সঙ্গে বান্দার সুসম্পর্ক স্থাপনের অন্যতম ও প্রধান কাজই হচ্ছে, প্রতি মুহূর্তে তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন ও প্রশংসা করা। আর তা করতে হবে কথা, কাজ ও সম্মতির মাধ্যমে। কোনোভাবেই আল্লাহর কৃতজ্ঞতা ও প্রশংসা থেকে দূরে থাকা যাবে না। কুরআনুল কারিমে মহান আল্লাহ বান্দার প্রতি এ নির্দেশই দিয়েছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন-

‘কাজেই তোমরা আমাকে স্মরণ কর, আমিও তোমাদেরকে স্মরণ করব। আর তোমরা আমার প্রতি কৃতজ্ঞ হও এবং অকৃতজ্ঞ হয়ো না।’ (সূরা বাক্বারা : আয়াত ১৫২)

আল্লাহর প্রতি ভয়

যে মুমিন মহান আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা মিশ্রিত ভয় রাখবে, তার সঙ্গে আল্লাহর বুন্ধত্ব স্থাপন হবে। যেভাবে মহান আল্লাহ বলেন-

‘যে না দেখে দয়াময় আল্লাহ তাআলাকে ভয় করত এবং বিনীত অন্তরে তার কাছে উপস্থিত হত।’ (সুরা কাফ : আয়াত ৩৩)

আল্লাহ তাআলা বান্দার সব অবস্থা দেখেন এবং জানেন এ অনুভূতির ফলে বান্দার হৃদয়-মন আল্লাহর ভয় ও ভক্তি-শ্রদ্ধায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠে, তাঁর অবাধ্যতায় লজ্জিত হয়, তাই আল্লাহর বিরুদ্ধাচরণ ও আনুগত্যের গণ্ডি থেকে বেরিয়ে যাওয়াটাকে রীতিমতো অপমান মনে করে। এ অনুভূতিই বান্দাকে আল্লাহর বন্ধুত্বে পরিণত করে দেয়।

আল্লাহর কাছে নিজেকে সমর্পণ করা

আল্লাহ তাআলা বান্দার ওপর ক্ষমতাবান। বান্দা তাঁর অধীন এবং তাঁর দিকে ছাড়া বান্দার পালানোর, মুক্তির ও আশ্রয়ের কোনো সুযোগ নেই। সুতরাং যে বান্দা সব সময় আল্লাহর কাছে নিজেকে সমর্পণ করে, তাঁরই দিকে ধাবিত হয়, তাঁর ওপর ভরসা করে, সে বান্দা মহান আল্লাহর বন্ধুতে পরিণত হয়। কারণ বান্দা বিশ্বাস করে যে-

– ‘এমন কোনো জীবজন্তু নেই; যে তাঁর পূর্ণ আয়ত্তাধীন নয়।’ (সুরা হুদ : আয়াত ৫৬)

– ‘আর আল্লাহর ওপরই তোমরা নির্ভর কর, যদি তোমরা মুমিন হও।’ (সুরা মায়েদা : আয়াত ২৩)

আল্লাহর রহমতের মুখাপেক্ষী হওয়া

আল্লাহর সঙ্গে ওই বান্দার সুসম্পর্ক তৈরি হয়, যে বান্দা সব সময় আল্লাহর রহমতের মুখাপেক্ষী। আল্লাহ ছাড়া অন্য কারও প্রতি মুখাপেক্ষী নয়। কেননা আল্লাহ তাআলা বান্দাকে অভয় দিয়ে বলেছেন, বিপদ-মুসিবত যত কিছুই আসুক না কেন তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে সরে দাঁড়িও না। আল্লাহ বলেন-

‘তোমরা আল্লাহর অনুগ্রহ হতে নিরাশ হইও না।’ (সরা যুমার : আয়াত ৫৩)

আল্লাহর ক্ষমতার প্রতি বিশ্বাস

মানুষ শুধু সৃষ্টিগতভাবেই দুর্বল নয়; বরং মহান পরাক্রমশালী আল্লাহর সামনে কোনো বিষয়ে মুখোমুখি হওয়ার ক্ষমতা মানুষ কেন; কারোরই নেই। তিনি সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। আল্লাহর ক্ষমতায় একান্ত বিশ্বাসী ব্যক্তিই আল্লাহর সঙ্গে সুসম্পর্ক গঠনে সক্ষম। আল্লাহ তাআলা বলেন-

‘আর কোনো সম্প্রদায়ের জন্য যদি আল্লাহ অশুভ কিছু ইচ্ছে করেন, তবে তা রদ হওয়ার নয় এবং তিনি ছাড়া তাদের কোনো অভিভাবক নেই। (সুরা রাদ : আয়াত ১১)

আল্লাহর প্রতি আশা পোষণ করা

আল্লাহর সঙ্গে সুসম্পর্ক গঠনে তাঁর প্রতি আশা এবং ভয় পোষণ করার বিকল্প নেই। বান্দা যখন আল্লাহ তাআলার অবাধ্য হয়, তাঁর আনুগত্য থেকে বেরিয়ে যায়, তখন মনে হয় যেন আল্লাহর দেয়া হুমকি বা আজাব তাকে চেপে ধরেছে।

পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি তাঁর আনুগত্য করে, অনুসরণ-অনুকরণ করে, তাঁর হুকুম-আহকাম পালন করে, মনে হয় যেন সে ব্যক্তি আল্লাহর দেয়া প্রতিশ্রুতিকে সত্যে পরিণত করছে। এ বিশ্বাসই মানুষকে তার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। আল্লাহ বলেন-

– ‘আর যে কেউ আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আনুগত্য করে, আল্লাহকে ভয় করে ও তাঁর তাকওয়া অবলম্বন করে, তাহলে তারাই কৃতকার্য।’ (সুরা নুর : আয়াত ৫২)

– ‘কেউ কোনো সৎকাজ করলে সে তার দশ গুণ পাবে। আর কেউ কোনো অসৎ কাজ করলে তাকে শুধু তার অনুরূপ প্রতিফলই দেয়া হবে এবং তাদের প্রতি জুলুম করা হবে না। (সুরা আনআম : আয়াত ১৬০)

সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, আল্লাহর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে কুরআনের নির্দেশগুলো নিজেদের জীবনে বাস্তবায়ন করা জরুরি। আর তাতেই আল্লাহর সঙ্গে বান্দার সুসম্পর্ক তৈরি হবে। দুনিয়া ও পরকালে সফলতা লাভ করবে মুমিন।

হে আল্লাহ! মুমিন মুসলমানকে আপনার সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপনের তাওফিক দান করুন। আপনাকে অভিভাবক, তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে পাওয়ার তাওফিক দান করুন। আপনার প্রিয় বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার তাওফিক করুন। আমিন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: বাংলাদেশ হোস্টিং