চাঁদপুর-৪ ফরিদগঞ্জে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিক মুহম্মদ শফিকুর রহমানকে অভ্যর্থনা জানিয়েছেন হাজার হাজার জনতা। ওই আসন থেকে পুনরায় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হতে পেরে স্থানীয়দের প্রতি খোলা জিপ থেকে হাত নেড়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।
প্রতীক পাওয়ার পর থেকেই সারাদেশে শুরু হয়েছে প্রার্থীদের উৎসবমুখর প্রচারণা। সারাদেশের মতো চাঁদপুরেও চলছে নির্বাচনী উৎসব। সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) প্রচারের প্রথম দিনেই প্রতীক নিয়ে প্রচারে নামেন অনেকে।
এর আগে ২০১৮ সালে বিগত একাদশ সংসদ নির্বাচনেও তিনি ফরিদগঞ্জ আসন থেকে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করেছিলেন। সেই নির্বাচনে সাংবাদিক মুহম্মদ শফিকুর রহমান বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছিলেন।
চাঁদপুর জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে তিনি নির্বাচনী এলাকা ফরিদগঞ্জে যান। সেখানে পৌঁছার আগে পথিমধ্যে তাকে ঘিরে উৎসুক জনতার উপস্থিতে তা আনন্দ শোভাযাত্রার পরিণত হয়। তাতে অংশ নেন মুক্তিযোদ্ধা, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ অর্ধলক্ষাধিক জনতা। উৎসব আনন্দে ফুলেল শুভেচ্ছায় তাকে বরণ করেন তারা।
পরে আনন্দ শোভাযাত্রাটি ফরিদগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড, উপজেলা চত্বরসহ বিভিন্ন রোড হয়ে তার বাসভবনে গিয়ে শেষ হয়।
পরে জনতার উদ্দেশ্যে শফিকুর রহমান বলেন, ‘আজকে আমি পূর্ববর্তী যারা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে নিজেকে উৎসর্গ করেছে তাদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। আজকের এই শোভাযাত্রায় আপনাদের উপস্থিতি ও ভালোবাসা আমাকে আরও অনুপ্রাণিত করলো। নৌকার পক্ষে আমাকে বরণ করে নেওয়া মূলত নৌকাকে বরণ করে নেওয়া এবং প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা। ফরিদগঞ্জবাসী যে নৌকা তথা আওয়ামী লীগকে শতভাগ ভালোবাসে আজকে আপনাদের উপস্থিতিই তার প্রমাণ বহন করে। আমি প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ বির্নিমাণে কাজ করে যাচ্ছি এবং ভবিষ্যতেও সেই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখবো ইনশাআল্লাহ্।’
মুহম্মদ শফিকুর রহমান আরও বলেন, ‘সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব প্রাপ্তির পর প্রধানমন্ত্রীর বরাদ্দ দিয়ে ফরিদগঞ্জ উপজেলাটিকে পুরো বাংলাদেশের মধ্যে ১ নম্বর মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলতে চেয়েছি। কিন্তু সেই ইচ্ছে পূরণে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছিলো মহামারি করোনা। গত পাঁচ বছরের মধ্যে দুই বছর করনা থাকায় তা পূর্ণ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। তারপরও মাত্র তিন বছরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুদানে ফরিদগঞ্জে যা উন্নয়ন হয়েছে তা গত ৫০ বছরের ইতিহাসে নজির স্থাপন করেছে। আমরা মাত্র ৩ বছরে ফরিদগঞ্জের উন্নয়ন কাজ ৭০ শতাংশ সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছি।’
আগামী ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে তিনি নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করছেন। এই আসনের বাসিন্দাদের কাছে পুনরায় ভোট প্রার্থনা করেন। একই সঙ্গে নির্বাচিত হতে পারলে অবশিষ্ট থাকা ৩০ শতাংশ কাজ পূর্ণ করে ফরিদগঞ্জকে দেশের ১নং মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তোলার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।