নির্বাচনের দিন মুন্সিরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলাকালে ককটেল বিস্ফোরণ ও পুলিশ হেডকোয়াটারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের গাড়ী এবং মোবাইল টিমের গাড়ী ভাংচুর, দোকান ও বাড়িঘর লুটপাটের ঘটনায় অভিযুক্ত মনির মাল, শাহ আলম, টিটু ও মাহফুজ আবারও তান্ডব চালিয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারী) রাত প্রায় ৯ টার দিকে মনির মাল, শাহ আলম, টিটু ও মাহফুজ এর নেতৃত্বে প্রায় ৩০ জন মিলে এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এশার নামাজের ১৫-২০ মিনিট পর সুবিদপুর পশ্চিম ইউনিয়নের মুন্সিরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে হটাৎ করেই প্রায় ৩০ সদস্যবিশিষ্ট একটি দল কয়েকটি দোকানে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি আঘাত করতে শুরু করে ও দোকানের মালামাল ও টাকা পয়সা লুটপাট করে নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় মুন্সিরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্লাশ রুমের জানালার গ্লাস ও দোকানের শার্টার কুপিয়ে বিনষ্ট করে। তাদের এলোপাথাড়ি আঘাতে বেশ কয়েকজন মানুষ গুরুতর আহত হয়।
আহত রাসেল (৩০) জানান, পাশের এলাকাতে তার বাসা। প্রতিদিন বন্ধুদের সাথে ব্যাডমিন্টন খেলতে এখানে আসতে হয় তাকে। এক ম্যাচ খেলা শেষে বিরতিতে দোকানে চা খাচ্ছিলো সে। হটাৎ করে পিছন থেকে চিৎকার চেচামেচি শুনে কিছু বুঝে উঠার আগেই মনির মালের চাপাতির আঘাতে হাতের অনেকটুকু কেটে যায় তার। এর পর আরো কিছু আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হয় তার শরীর। সেখান থেকে কোনরকম দৌঁড়ে জীবন রক্ষা হয় তার।
আহত পারভেজ (৩৮) জানান, দোকানের পাশের রাস্তায় দাঁড়ানো ছিলো সে। রাস্তার ওই পাশের অন্ধকার থেকে চিৎকারের শব্দ পেয়ে কৌতুহলী সামনে এগুতেই লাথি ঘুষা পড়ে তার ওপর। দৌঁড়ে পালাতে গেলে মাহফুজ তাকে ঝাপটিয়ে ধরে রাখে। শাহ আলম ও টিটু তাকে আঘাত করে নির্দয় পাষাণের নেয়। চাপাতির আঘাতে মাথা ও কপালে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয় সে। এছাড়াও তার মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে যায় তারা বলেও অভিযোগ করে পারভেজ।
এঘটনায় এলাকাবাসী অবিলম্বে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণের জোর দাবী জানিয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্তরা সকলেই থানায় মামলা করবে বলে তাদের অভিব্যক্তি প্রকাশ করেছে।
ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সাইদুল ইসলাম জানান, থানায় এখন পর্যন্ত মামলা করতে আসেনি। মামলা করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।